বাংলাদেশের মধ্যাংশের একটি অঞ্চল জামালপুর জেলা। ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। বিশেষ করে কৃষি পণ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র এই জামালপুর জেলা। এটি রেল পথে জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, এবং বাহাদুরাবাদ ঘাট ও ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, এবং মেঘালয় (ভারত) এর সঙ্গে রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত। দেশের সবথেকে বড় সার কারখানা এখানেই রয়েছে।
যে সকল বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনাজামালপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
জামালপুর জেলার ইতিহাস
জামালপুর জেলার আয়তন
জামালপুর জেলার উপজেলাসমূহ
জামালপুর কিসের জন্য বিখ্যাত
জামালপুর জেলার দর্শনীয় স্থান
জামালপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
জামালপুর কিসের জন্য বিখ্যাত
জামালপুর জেলা মূলত বুড়ির দোকানের রসমালাই, ছানার পোলাও এবং ছানার পায়েসের জন্য বিখ্যাত আমরা অনেকেই জানি। জামালপুর হস্ত শিল্পের জন্যও বিখ্যাত। ভারত থেকে আমদানিকৃত পন্য ও রপ্তানির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হল জামালপুর। দেশের সবথেকে বড় সার কারখানা(যমুনা) রয়েছে জামালপুরে ।
জামালপুর জেলার উত্তরে ভারত ও শেরপুর জেলা, দক্ষিনে সিরাজগঞ্জ জেলা, পূর্বে ময়মনসিংহ জেলা এবং পশ্চিমে গাইবান্ধা জেলা অবস্থিত।
![]() |
জামালপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি | জামালপুর কিসের জন্য বিখ্যাত |
জামালপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
জামালপুরে সর্ব মোট সাতটি উপজেলা রয়েছে। প্রতিটি উপজেলার আছে নিজস্ব ঐতিহ্য। যদি কখনো কোথাও প্রশ্ন করা হয় যে, জামালপুর কিসের জন্য বিখ্যাত?উত্তরঃ জামালপুর জেলা বুড়ির দোকানের রসমালাই, ছানার পোলাও এবং ছানার পায়েসের জন্য বিখ্যাত। আপনাকে জানতে হবে জামালপুর কিসের জন্য বিখ্যাত বিস্তারিত।
- জামালপুর সদর উপজেলায় রয়েছে হরিশচন্দ্র নামে একটি দীঘি যা অনেক বছরের পুরনো
- জামালপুর সদরের দয়াময়ী মোড় এ রয়েছে প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো দয়াময়ী মন্দির।
- হযরত শাহ জামাল (রহ.) মাজার
- ইসলামপুরের কাঁসার বাসন জামালপুরের বিখ্যাত
- এছাড়াও রয়েছে বকশীগঞ্জের নকশি কাঁথা যার কদর শুধু দেশে নয় বিদেশেও রয়েছে
- মেলান্দহ উপজেলা রয়েছে উন্নত মানের তামা
- এছাড়াও দেওয়ানগঞ্জে রয়েছে চিনিকল যা দেশের চিনির চাহিদা অনেকাংশে পুরন করে থাকে
- মাদারগঞ্জ এর মাছ
- সরিষাবাড়ির সার কারখানা দেশের সবচেয়ে বড় সার কারখানা যার নাম " যমুনা সার কারখানা "
- নান্দিনার পান
- ব্রহ্মপুত্র নদ এর পলিমাটি এই অঞ্চলের জমিকে উভর অরে তুলেছে।
- গান্ধী আশ্রম জামালপুরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহন করে।
জামালপুরএর পূর্ব নাম সিংহজানি। পরবর্তীতে হযরত শাহ জামাল (রহ.) এর আগমনের ফলে এই অঞ্চলের নাম হয় জামালপুর। জামালপুরের উত্তরে ব্রহ্মপুত্র নদ এবং শেরপুর জেলা , দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা এবং মধুপুর গড়। জামালপুরের পূর্ব পার্শে ময়মনসিংহ জেলা এবং পশ্চিমে যমুনা নদী। এছাড়াও রয়েছে
- হযরত শাহ কামাল (রহ.) মাজার
- নরপাড়া দুর্গ
- মালঞ্চ মসজিদ
শুধু তাই নয় মহান মুক্তিযুদ্ধেও জামালপুরেরও আছে বিশেষ অবদান।বানুয়া কামালপুর ক্যাম্প সেটিরই প্রমান।জামালপুর ১১ নং সেক্টরের অধিনে ছিল।
জামালপুর জেলার দর্শনীয় স্থান
আপনারা জামালপুর আসতে পারেন এবং ঘুরে দেখতে পারেন জামালপুর জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ । জামালপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে হযরত শাহ জামাল মাজার, বানুয়া কামালপুর ক্যাম্প, লাউচাপরা, লুইজ ভিলেজ পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট এবং গান্ধী আশ্রম অন্যতম।
- হযরত শাহ কামাল (রহ.) মাজার শরীফ ,কাচারিপাড়া
- হযরত শাহ জামাল (রহ.) মাজার শরীফ যা জামালপুর সদরে অবস্থিত।
- ৩৫০ বছরের পুরনো দয়াময়ী মন্দির যা জামালপুর সদরে অবস্থিত।
- লাউচাপড়া পিকনিক স্পট যেটি জামাল্পুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।
- লুইজ ভিলেজ পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট , জামালপুর সদর।
- গান্ধী আশ্রম মেলান্দহ উপজেলায় অবস্থিত
জামালপুর কিভাবে যাব ?
আপনি বাস এবং ট্রেনের মাধ্যমে সহজেই জামালপুর আসতে পারবেন। তবে সবচেয়ে ঝামেলা মুক্ত হচ্ছে ট্রেন ভ্রমন। জামালপুরের অন্যতম ৩ টি ট্রেন হল জামালপুর এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং তিস্তা এক্সপ্রেস। কৃষি প্রধান এ অঞ্চলে মূলত প্রধান ফসলের মধ্যে ধান, পাট, আখ, সরিষা বীজ, চিনাবাদাম, এবং গম হয়। ভারত থেকে আমদানিকৃত পন্য ও রপ্তানির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হল জামালপুর জেলা ।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। বিশেষ করে কৃষি পণ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র এই জামালপুর জেলা। এটি রেল পথে জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, এবং বাহাদুরাবাদ ঘাট ও ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, এবং মেঘালয় (ভারত) এর সঙ্গে রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত।দেশের সবথেকে বড় সার কারখানা এখানেই রয়েছে।
জামালপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
বিভিন্ন সময়ে নিজস্ব কীর্তি নিয়ে অনেক কৃতি ও গুণী মানুষের জন্ম হয়েছে এই জামালপুর জেলায়।জামালপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হলেন মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ, বিএনপির মহাসচিব আব্দুস সালাম তালুকদার, শহীদ আমানুল্লাহ কবীর, সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল, মোঃ নুরুল ইসলাম। এছাড়াও রয়েছেন মিজানুর রহমান খান,বশির আহমেদ (বীর প্রতীক) বকশীগঞ্জ, মোঃ মতিউর রহমান (বীর প্রতীক) বকশীগঞ্জ এদের কে জামালপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি বলা হয়ে থাকে।
বিখ্যাত ব্যক্তি | নিজস্ব কীর্তি |
---|---|
1.আনোয়ার হোসেন | নাটকে বাংলার মুকুট বিহীন সম্রাট |
2.ড. আতিউর রহমান | বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর |
3.মরহুম নজরুল ইসলাম বাবু | বিখ্যাত গীতিকার ও শিল্পী |
4.আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন | প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব |
5.মরহুম হাসান হাফিজুর রহমান | মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনাকারী |
6.গিয়াস মাস্টার | নাট্যকার |
7.এম এস হুদা | নাট্যকার |
8.মরহুম আব্দুল করিম | স্পীকার |
9.আব্দুল জব্বার | প্রধান প্রকৌশলী |
10.মরহুম এডভোকেট আনোয়ারুজ্জামান | ভাষা সৈনিক |
11.নাট্যকার আমজাদ হোসেন | জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত |
এছাড়াও রয়েছেনঃ
- মরহুম আ: ওয়াদুদ মাস্টার।
- মরহুম প্রিন্সিপাল রইছ উদ্দিন।
- মরহুম আশেক মাহমুদ তালুকদার।
- মরহুম নঈম মিয়া।
- মরহুম কাদা মিয়া।
- মরহুম মোখলেসুর রহমান ফকির।
- শ্রী বঙ্কিম বিহারী রাউৎ।
- স্বর্গীয় নলিণী মোহন দাশ মাখন বাবু।
- মরহুম মজিবর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।
জামালপুরের বিখ্যাত খাবার
বলা হয়ে থাকে জামালপুরের মানুষ অনেক ভোজনপ্রিয়। জামালপুরের তৈরি পিঠা পায়েস ও ছানার পাশাপাশি এখানকার ঐতিহ্যবাহী মিল্লি ভাত বা মেন্দা সারা বাংলাদেশ এ বিখ্যাত। এই ঐতিহ্যবাহী খাবার শুধুমাত্র জামালপুর জেলাতেই পাওয়া যায়। মৃত মানুষের চল্লিশা বা মিলাদ মাহফিলে কড়া আয়োজনের প্রধানতম খাবার এই মিল্লি বা পিঠালি।
- বুডির দোকানের মিষ্টান্ন
- মিল্লিভাত বা পিঠালি
- ছানা ও পায়েস
- কলার নাস্তা ইত্যাদি।
FAQ section
প্রশ্নঃজামালপুর কিসের জন্য বিখ্যাত ?
উত্তরঃ জামালপুর জেলা মূলত বুড়ির দোকানের রসমালাই, ছানার পোলাও এবং তৈরি ছানার পায়েসের জন্য বিখ্যাত।
প্রশ্নঃজামালপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ কি কি ?
উত্তরঃ হযরত শাহ কামাল (রহ.) মাজার শরীফ ,কাচারিপাড়াহযরত শাহ জামাল (রহ.) মাজার শরীফ যা জামালপুর সদরে অবস্থিত।৩৫০ বছরের পুরনো দয়াময়ী মন্দির যা জামালপুর সদরে অবস্থিত।লাউচাপড়া পিকনিক স্পট যেটি জামাল্পুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।লুইজ ভিলেজ পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট , জামালপুর সদর।গান্ধী আশ্রম মেলান্দহ উপজেলায় অবস্থিত।
প্রশ্নঃ জামালপুরের উপজেলা কতটি ?
উত্তরঃ সাতটি।