শেরপুর বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ১৮২৯ -২০১৫ এটি ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ছিল।পরবর্তীতে ময়মনসিংহ বিভাগ হওয়ার পর এই জেলাকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ জেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয়, দক্ষিণ-পশ্চিমে জামালপুর জেলা ও পূর্বদিকে ময়মনসিংহ জেলা অবস্থিত।
যে সকল বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনাশেরপুর কিসের জন্য বিখ্যাত
শেরপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
শেরপুর জেলার বিখ্যাত খাবার
শেরপুর জেলা থানা সমূহ
শেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান
শেরপুর জেলার ইতিহাস
শেরপুর জেলার ইতিহাস
প্রাচীনকালে শেরপুর জেলা কামরূপ রাজ্যের অংশ ছিল। মোঘল সম্রাট আকবরের শাসন আমলে এই এলাকা দশ কাহনিয়া নামে পরিচিত ছিল। আগে শেরপুর যেতে ভয়ঙ্কর ব্রহ্মপুত্র নদী পার হওয়া লাগতো। নদী পারাপারের জন্য দশ কাহন কড়ি নির্ধারিত ছিল বলে এই এলাকায় দশ কাহনিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভাউলিয়ার গাজী ঈশা খাঁর বংশধর থেকে দশ কাহনিয়া এলাকা দখল করে নেয়। দশ কাহনিয়া পরগনা পরবর্তীতে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজীর নাম অনুসারে শেরপুর নামকরণ করা হয়। একসময় এখানে ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং জমিদারদের বিরুদ্ধে ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহ অনুষ্ঠিত হয়। ফকির আন্দোলনের নেতা তিপু শাহ্ এই এলাকায় সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করেন।
শেরপুর জেলার আয়তন
- শেরপুর জেলার আয়তন ১৩৬৩.৭৬ বর্গ কিলোমিটার। শেরপুর জেলা পূর্বে জামালপুর জেলার একটি মহাকুমা ছিল। ১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এটিকে জেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ঢাকা থেকে শেরপুর শররের দূরত্ব প্রায় ১৯৮ কিলোমিটার। এ জেলার অর্থনীতি কৃষিনির্ভর।
শেরপুর কিসের জন্য বিখ্যাত
শেরপুর জেলা নিজস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত হলেও, এ জেলা তুলসীমালা চাল, ছানার পায়েশ, ছানার চপ এর জন্য বিখ্যাত। শেরপুর জেলা অনুরাধার দই এর জন্যও বিখ্যাত। দেশের অন্যতম পর্যটক কেন্দ্র গজনি ও গারো পাহাড় শেরপুরেই অবস্থিত। যেটি এ জেলাকে বিখ্যাত করে তুলেছে বিশ্ব দরবারে।
শেরপুর জেলার থানা সমূহ
শেরপুর জেলা মোট ৫ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। শেরপুর সদর, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতি, নকলা, শ্রীবরদি ইত্যাদি।
শেরপুর সদর |
নালিতাবাড়ি |
ঝিনাইগাতি |
নকলা |
শ্রিবরদি |
শেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান
- শেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর মধ্যে গজনী অবকাশ, মধুটিলা ইকোপার্ক, কসবা মসজিদ, লোকনাথ মন্দির, মরিয়ম নগর গির্জা, নয়আনি জমিদার বাড়ি সহ শেরপুর নামের প্রতিষ্ঠাতা শের আলি গাজি মাজার অন্যতম।
গজনী অবকাশ কেন্দ্র | মধুটিলা ইকোপার্ক |
ঘাঘড়া খান বাড়ি জামে মসজিদ | গড়জরিপা বার দুয়ারী মসজিদ |
মাইসাহেবা জামে মসজিদ | কসবা মুঘল মসজিদ |
মঠ লস্কর বারী মসজিদ | আড়াই আনী জমিদার বাড়ি |
নয়াআনী বাজার নাট মন্দির | নয়আনী জমিদার বাড়ির রংমহল |
পৌনে তিন আনী জমিদার বাড়ি | নয়আনী জমিদার বাড়ি |
গোপী নাথ ও অন্ন পূর্ন্না মন্দির | লোকনাথ মন্দির |
বারোমারি গীর্জা | নয়াবাড়ির টিলা |
রাজার পাহাড় ও বাবেলাকোনা | পানিহাটা-তারানি পাহাড় |
সুতানাল দীঘি | নালিতাবাড়ির রাবারড্যাম |
মুন্সি দাদার মাজার | অলৌকিক গাজির দরগাহ |
শের আলী গাজীর মাজার | অর্কিড পর্যটন কেন্দ্র |
গড়জরিপা ফোর্ট | গড়জরিপা কালিদহ গাং এর ডিঙি |
শাহ কামাল এর মাজার | মরিয়ম নগর গীর্জা |
শেরপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
বিখ্যাত ব্যক্তি | পেশা |
---|---|
বেগম মতিয়া চৌধুরী | রাজনীতিবিদ |
বজলুর রহমান | সাংবাদিক |
শের আলী গাজী | যার নামে আজ শেরপুর জেলার নামকরন |
আতিউর রহমান আতিক | সংসদ সদস্য শেরপুর-১ |
এ কে এম ফজলুল হক | সংসদ সদস্য শেরপুর-২ |
এছাড়াও রয়েছেনঃ
- খন্দকার আব্দুল হামিদ
- নিগার সুলতানা
- আফসার আলী
- রবি নিয়োগী প্রভৃতি নাম
FAQ SECTION
প্রশ্নঃশেরপুর কিসের জন্য বিখ্যাত ?
প্রশ্নঃশেরপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি কে কে ?
উত্তরঃ বিস্তারিত পোস্টে।
প্রশ্নঃ শেরপুর জেলার আয়তন কত ?
উত্তরঃ শেরপুর জেলার আয়তন ১৩৬৩.৭৬ বর্গ কিলোমিটার।
প্রশ্নঃ শেরপুর জেলা থানা সমূহ কয়টি ও কি কি ?
উত্তরঃ শেরপুর জেলা মোট ৫ টি থানা নিয়ে গঠিত। শেরপুর সদর, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতি, নকলা, শ্রীবরদি ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ শেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ কি কি ?
উত্তরঃ গজনি আবকাশ কেন্দ্র, মধুটিলা ইকোপার্ক সহ অনেক শেরপুরের দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বিস্তারিত পোস্টে।
প্রশ্নঃ শেরপুর জেলার বিখ্যাত খাবার কি ?
উত্তরঃ তুলসীমালা চাল, ছানার পায়েশ, ছানার চপ এবং অনুরাধার দই।